এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় যারা পাস করেছো, তোমরা নিশ্চয়ই এখন আনন্দ উদযাপনে ব্যস্ত। বন্ধু-বান্ধব আর আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে বেশ ভালো সময়ই কাটছে আশা করি।
কিন্তু এরপর কী করবে ভেবেছো কিছু? তোমাদের ভবিষ্যত গড়ার বিষয় নিয়েই থাকছে আজকের ফিচার।
গ্র্যাজুয়েশন কোথায় করবে?
সাধারণত বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরই লক্ষ্য থাকে প্রকৌশল এবং মেডিকেল কলেজসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েও অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হয়।
তবে দেশের বেশিরভাগ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশন জট, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে সঠিক সময়ে কোর্স শেষ করা সম্ভব হয় না। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী ক্যারিয়ার গড়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে।
আর তাই অনেকেরই প্রথম পছন্দ থাকে দেশের বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার।
বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুবিধা কী?
সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া যায়। এসব বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে।
সেই সাথে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাসময়ে কোর্স শেষ করে ক্যারিয়ার গড়ার দিকে মনোযোগ দেয়া যায়। আর সেসব দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বেশি হওয়াতে গ্র্যাজুয়েটরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে উচ্চ বেতনে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে।
এছাড়া পড়াশোনা শেষে অনেক দেশেই স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া যায়, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত আকর্ষণীয়।
কোন দেশে পড়বে?
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরো বেশি কিছু দেশ। তবে এসব দেশের মধ্যে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া অনেক বেশি সহজ।
তোমরা হয়ত ইতোমধ্যেই জেনেছ, অস্ট্রেলিয়া তাদের স্টুডেন্ট ভিসা সিস্টেমে বাংলাদেশকে লেভেল ১ এ আপগ্রেড করেছে। এর ফলে তোমরা এখন আগের চেয়ে দ্রুত এবং সহজে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার জন্য ভিসা পেয়ে যাবে।
সেই সাথে এখন বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মানের অনেক ইনস্টিটিউটেও তোমরা ভর্তি হতে পারবে। এর ফলে তোমরা আগের চেয়ে অনেক কম খরচে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে।
কোন বিষয়ে পড়বে?
তোমাদের অনেকেরই হয়ত পছন্দের কোনো একটা বিষয় আছে। আবার অনেকেই আছো যারা এখনো জানো না কোন বিষয়ে পড়লে তোমার ক্যারিয়ারের জন্য ভালো হবে। তাদের জন্য আগে থেকেই একটি উপযুক্ত বিষয় খুঁজে নিয়ে তারপর ভর্তির আবেদন করা উচিত।
এজন্য জানতে হবে তোমার পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় তোমার পছন্দের কোর্সটি অফার করছে কিনা। যদি তা না করে, সেক্ষেত্রে কোনো উপযুক্ত বিকল্প খুঁজে বের করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে একজন অভিজ্ঞ কাউন্সেলরের পরামর্শ নিতে পারো। তারা তোমাকে উপযুক্ত কোর্স এবং বিশ্ববিদ্যালয় বাছাই করতে সাহায্য করবে।
কিভাবে এগোতে হবে?
অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার জন্য ইংরেজির দক্ষতা থাকা বাধ্যতামূলক। এজন্য তোমাদেরকে প্রথমে আইইএলটিএস পরীক্ষায় একটি নির্দিষ্ট স্কোর তুলতে হবে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই ন্যূনতম ৬.০ স্কোর চেয়ে থাকে।
ইংরেজির দক্ষতার প্রমাণ ছাড়াও তোমাকে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংক স্টেটমেন্টসহ অন্যান্য আর্থিক ডকুমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে।
এছাড়া সঠিকভাবে আবেদন করার ব্যাপারেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আবেদনে ভুল হলে ভিসা প্রত্যাখ্যান হবার সম্ভাবনাই বেশি।
এক্ষেত্রে তোমরা একজন রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্টের সাহায্য নিতে পারো। যেহেতু এসব এজেন্টরা সব ব্যাপারেই সঠিক এবং আপডেটেড তথ্য জানে, তাই তারা তোমাকে অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে যাবার ব্যাপারে সঠিক পথে গাইড করতে পারবে।
আশা করছি, এসব পরামর্শ তোমাদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ এবং ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে উপকারী হবে। তোমাদের যদি কোনো প্রশ্ন থাকে বা আরো বিস্তারিত পরামর্শ প্রয়োজন হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারো।
ঠিকানা: প্লট ৬, লেভেল ৪, স্যুট ডি৪, গুলশান এভিনিউ, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
ফোন: +৮৮০১৯ ৫৮০৩ ৫৭০১, +৮৮০১৯ ৫৮০৩ ৫৭০৪
ওয়েবসাইট: www.eduaid.net