অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াকে আরো সহজ করতে অস্ট্রেলিয়া সরকার তাদের এভিডেন্স লেভেল সিস্টেমে পরিবর্তন এনেছে।
নতুন ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী বিভিন্ন দেশের ভিসা ঝুঁকি লেভেল অনুসারে আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ভিন্ন হবে।
নতুন লেভেল এবং রিকয়ারমেন্টস
সংশোধিত নিয়মে আবেদনকারী দেশগুলোকে তিনটি লেভেলে ভাগ করা হয়েছে।
- লেভেল ১ (নিম্ন ঝুঁকি): এসব দেশের আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে কম ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে, যে কারণে ভিসা প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সহজ এবং দ্রুত হবে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা লেভেল ১ এ উন্নীত হয়েছে।
- লেভেল ২ (মধ্যম ঝুঁকি): এসব দেশের আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে লেভেল ১ এর চেয়ে বেশি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে। আবেদন প্রক্রিয়ায় আবেদনকারীর আর্থিক সক্ষমতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং অন্যান্য বিষয় নিবিড়ভাবে খতিয়ে দেখা হবে। এই ক্যাটাগরিতে থাকা দেশগুলো হচ্ছে ভারত, চীন, নেপাল, ভিয়েতনাম এবং ভুটান।
- লেভেল ৩ (উচ্চ ঝুঁকি): এই লেভেলে থাকা দেশগুলোর আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে অন্য দুই ক্যাটাগরির চেয়ে অনেক বেশি ডকুমেন্ট প্রয়োজন হবে এবং সেগুলো অনেক বেশি গভীরভাবে পরীক্ষা করা হবে। এই ক্যাটাগরির দেশগুলো হল পাকিস্তান, ফিলিপাইন, এবং ফিজি।
অস্ট্রেলিয়ার উচ্চশিক্ষার সহজ পথ খুলেছে
নতুন নিয়মে বাংলাদেশকে লেভেল ১ (নিম্ন ঝুঁকি) দেশ হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এর কারণে বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে কিছু বিশেষ সুবিধা পাবেন।
- সহজ আবেদন প্রক্রিয়া: বাংলাদেশী আবেদনকারীরা এখন অনেক দ্রুত এবং সহজে ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবেন।
- কম ডকুমেন্ট: নতুন লেভেল প্রাপ্তির কারণে ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে কম ডকুমেন্ট লাগবে, অর্থাৎ জটিলতা অনেক কমে যাবে।
- উচ্চ ভিসা সফলতার হার: নতুন নিয়মে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়া সহজ হওয়ায় ভিসা পাওয়ার হার অনেক বেড়ে যাবে।
এডুএইডের সিইও জনাব কাজী এএইচএস আহসান বলেন, “বাংলাদেশ লেভেল ১ এ উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা এখন আরো সহজে অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে। আর এই প্রক্রিয়ায় তাদেরকে সাহায্য করার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত।”
অস্ট্রেলিয়া সরকার আবেদন প্রক্রিয়ায় সফল হবার জন্য আবেদনকারীদেরকে সঠিক ডকুমেন্ট জমা দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছে।